সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের পৃষ্ঠপোষকতায় মক্কায় শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) শুরু হয়ে ৬ সেপ্টেম্বর ( ১০ দিন ) পর্যন্ত চলবে।
দেশটির ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ৪৩তম এ পর্বে অংশ নেবেন ১১৭ টি দেশের ১৬৭ জন প্রতিযোগী। পবিত্র কোরআনের হিফজসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচটি বিষয়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতার পাঁচ ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল পুরস্কার পাবেন।
সৌদির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী শায়খ ড. আবদুল লতিফ আলে শায়খ জানিয়েছেন, খাদিমুল হারামাইনের সার্বিক সহযোগিতায় ৪৩তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম স্থান অর্জনকারী পুরস্কার হিসেবে পাবেন পাঁচ লাখ রিয়াল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রধান মুহাদ্দিস ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিচারক হাফেজ ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান আন্তর্জাতিক এ হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতার বিচারক মনোনীত হয়েছেন।
গত বছর বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম এই প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল। তাজবিদসহ কোরআন মুখস্থ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হিসেবে তাকে এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
এবারের প্রতিযোগিতায় রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার অধ্যায়নরত ছাত্র একাধিকবার আন্তর্জাতিক পুরুষ্কারপ্রাপ্ত হাফেজ ফয়সাল আহমাদ বাংলাদেশের প্রতিনিধত্ব করছেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয় হাফেজ ফয়সাল।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় হাফেজ ফয়সালের জন্ম। সেখান থেকে সৌদি আরবের কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অনুভুতি তুলে ধরেন তিনি। হাফেজ ফয়সাল বলেন, ছোটবেলা থেকে একটা স্বপ্ন ছিল কোনভাবে যদি আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করতে পারতাম, নবিজীর রওজার পাশে দাঁড়াতে পারতাম। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে সেই সুযোগ পেলাম আলহামদুলিল্লাহ। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন, আমি যেন দেশের জন্য প্রথম হওয়ার অর্জন এনে দিতে পারি।