চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ফুটবল খেলার সময় বিরোধকে কেন্দ্র করে মাদরাসা ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ওই মাদরাসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীপুর আহ্মাদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনের মাধ্যমে দ্রুত অপরাধীদের আটক ও শাস্তি দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে একজন মাদরাসা শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা অবিলম্বে অপরাধীদের আটক এবং শাস্তি দাবি করছি। একই সাথে ভবিষ্যতে কিশোরগ্যাংদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার দাবি করা হয়। এসময় মাদরাসা সুপার মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ইউপি সদস্য মাইনুদ্দিন পাটওয়ারী, সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্য আ. ছাত্তার উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এদিকে মানববন্ধন চলাকালে সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আ. মান্নান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এসময় তিনি অপরাধীকে দ্রুত আটক করার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্থ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট মাদরাসার গ্রীষ্মকালীন প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ফুটবল খেলার একপর্যায়ে বাকবিত-া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। যদিও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ দ্রুত বিষয়টি সমাধান করেন। কিন্তু ওই ঘটনার জের ধরে ওই দিন সন্ধ্যায় পাশ্ববর্তী গাজীপুর বাজারে মাদরাসার দশম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী, সাজেদুল ইসলাম (১৭)কে কুপিয়ে আহত করে রায়হান ইসলাম শাওন এর নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ একটি চক্র। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন সাজেদুল ইসলাম ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে। সে গাজীপুর আহমাদিয়া ফাজিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় ২ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত সাজেদুল ইসলামের বড় ভাই রিয়াজুল হাসান।
এ ব্যাপারে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে মাদরাসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মাঠেই মানববন্ধন করে। একপর্যায়ে তারা গাজীপুর বাজারের দিকে যেতে চাইলে পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের নিষেধ করি। পরে থানার ওসি এসে তাদের আশ্বস্থ করলে তারা ক্লাসে ফিরে যায়।