Breaking News
হাফেজ মুশফিক
হাফেজ মুশফিক

বিশ্বজয়ের পথে কক্সবাজারের ক্ষুদে হাফেজ মুশফিক

সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় চলছে ৪৩ তম কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) থেকে সৌদি আরবের ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ১০ দিনব্যাপী এ মহতি আয়োজন শুরু হয়েছে।

এতে বিশ্বের ১১৭টি দেশের ১৬৬ প্রতিযোগী তাতে অংশ নেন। তাঁদের অভিভাবক হিসেবে আরো ৫০ জন থাকবেন। প্রতিযোগিতার পাঁচ ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা পাবেন সর্বমোট ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল পুরস্কার। আর প্রথম স্থান অর্জনকারীরা পুরস্কার হিসেবে পাবেন পাঁচ লাখ রিয়াল।

এ  প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিনিধি ক্ষুদে ক্বারী হাফেজ মুশফিকুর রহমান। ২৪ আগস্ট সৌদি আরবে রওয়ানা হয় এই ক্ষুদে হাফেজ।

১১ বছর বয়সী হাফেজ মুশফিকুর রহমান কক্সবাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মা’হাদ আন-নিবরাসের ছাত্র। ইতিপূর্বে দেশের স্যাটেলাইট মিডিয়া ‘ চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, নিউজ টোয়েন্টিফোর কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন ও রানারসআপ হয়েছে।

এছাড়াও কক্সবাজার জেলা হুফফাজুল কুরআন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত জেলাভিত্তিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় একাধিকবার ১ম স্থান অর্জন করে।

বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত ২০২২ সালের হিফজ বিভাগের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় সারাদেশে ২য় স্থান (ঘ) অর্জন করে।

এরই ধারাবাহিকতায় সে ৪৩ তম কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হয়।

মা’হাদ আন-নিবরাসের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মাওলানা জিয়াউল হক ছোট্ট মুশফিকের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। সে বাংলাদেশ তথা কক্সবাজারের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হয় এবং দেশবাসীর জন্য একটি সুখবর নিয়ে ফিরতে পারে।

প্রসঙ্গত, এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অন্য প্রতিনিধি হাফেজ ফয়সাল আহমেদও অংশ নিয়েছেন। ফয়সাল আহমেদ রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় পড়াশোনা করেছে। তার বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া। সে পূর্ণ কুরআন হিফজ ক্যাটাগরিতে অংশ নেবে। তবে প্রতিযোগী মো. মুশফিকুর রহমান পবিত্র কুরআনের ১৫ পারা ক্যাটাগরিতে অংশ নেবে। তাঁরা উভয়ে নিজেদের সাফল্যের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশ থেকে হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল। তাজবিদসহ কোরআন মুখস্থ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হিসেবে তাকে এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

Leave a Reply