সত্যি কথা বলতে, বাংলাদেশে যতগুলো সরকারি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশ ব্যাংক ই সুদের সাথে সরাসরি ভাবে জড়িত। মোটকথা সুদ ছাড়া ব্যাংকিং ব্যবস্থা চলমান রাখা এককথায় অসম্ভব। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বে যতগুলো ব্যাংক রয়েছে সবগুলো ব্যাংকের মূল ভিত্তি হচ্ছে সুদ। আর ইসলামে বলা আছে সুদ সম্পর্কিত যেকোনো লেনদেন সম্পুর্ন হারাম। অর্থাৎ আপনি হয়তো ব্যাংকের চাকরি করেন না কিন্তু সেই ব্যাংক থেকে লেনদেন করেন তাহলে আপনিও হারাম কাজের সাথে জড়িত, আপনিও তাদের সাথে সমান অপরাধী। তাই ইসলামে ব্যাংকের চাকরি করা স্পষ্ট হারাম। এসব উপার্জন হারাম উপার্জন। শুধু হারাম উপার্জন তাই ই নয়, একে আল্লাহর সাথে যুদ্ধ করার সামিল হিসেবে গণ্য করার কথা বলা হয়েছে। চলুন তাহলে ইসলামের দলিলগুলো দেখে নিই।
ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -সূদখোর, সূদ দাতা, সূদের সাক্ষীদ্বয় ও সূদের (চুক্তি বা হিসাব) লেখককে অভিসম্পাত করেছেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১২০৬)
উমার, আলী, জাবির ও আবু জুহাইফা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২২৭৭)
হাদিসটি থেকে এটাই বুঝা গেলো যে, শুধু সুধ/রিবা প্রদান করা, গ্রহন করাই নয় বরং সুদের লেনদেনের সাক্ষী হওয়া, সুদের টাকার হিসাব রাখা, সুদের টাকার হিসাব লেখা বা তা কম্পিউটারে অপারেট করা সব ই সমান অপরাধ।
Discover Anything Unlock the Universe: Discover Anything, Anytime, Anywhere